পূজা দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, আসামিরা অধরা

মানিকগঞ্জমানিকগঞ্জে পূজা দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, তার বোন মানিকগঞ্জ শহরের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাবার সঙ্গে ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠানে যায় সে। তিনি দাবি করেন, গত মঙ্গলবার  রাত ৮ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তার বোনকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে জনি (২০)। এরপর তাকে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। জনি ছাড়াও একই এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬) ও ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর এলাকার ইউনুস, রফিক, শাহজাহান তাদের নাতে ধরে ফেললেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মজিবর রহমানসহ সমাজপতিরা তাদের মামলা না করতে চাপ দিতে থাকেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ভাই। তিনি জানান, ১ লাখ টাকা নিয়ে ঘটনা আপস-মীমাংসা করতে বলেন গ্রামের মাতব্বররা। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে হুমকি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর ভাই।

নালী ইনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবর রহমান আপসের চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটি ভিন্ন ধর্মের এবং অল্প বয়সী হওয়ার কারণে আপসের চেষ্টা করেছিলাম।’

মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'ওই দিনই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হবে। আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন- মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিকে ফাঁসালেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা?