মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে: সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার

সুনামগঞ্জআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে অর্ধশতাধিক ছোট-বড়ো মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে যারা নিয়মিত মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক হলো অন্যতম মাদক জোন। মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান শুক্রবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সুনামগঞ্জের পুলিশ এর সঙ্গে পুরোপুরি একাত্ম। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে আমরা কঠোর অ্যাকশনে যাবো।’

পুলিশ সুপার জানান, জেলার ১২ থানায় কমপক্ষে ৩টি পুলিশের টিম মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ১৯ মে থেকে আজ ২৫ মে পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় ৫৬টি মাদক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানের সময় ১০ কেজি গাঁজা, ১৬ হাজার ২৬ পিচ ইয়াবা, বিদেশি মদ ৪৬ বোতল, চোলাই মদ ৯৭ লিটার ও মদ তৈরির উপকরণ ৬০ বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘এলাকাটি এক সময় ভারতীয় মদের জন্য প্রসিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি দেখা যায় মাদকাসক্তরা নেশার ধরন পাল্টে ফেলেছে। তাদের বেশির ভাগই এখন ইয়াবাতে আসক্ত। ইয়াবার রুট বন্ধ করা গেলে যুব সমাজকে মাদক মুক্ত করা যাবে। এছাড়া তাহিরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানের ব্যাপ্তি আঁচ করতে পেরেও মাদকব্যবসায়ীদের একটি অংশ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে আত্মগোপন করেছে।’

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ জানান, ‘সদরে ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক মো. সোয়েব আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েক দিন আমরা নিয়মিতই অভিযান পরিচালনা করছি। ১৩৪৫ পিস ইয়াবা, ৫০০ লিটার চোলাই মদ, ৩৫ কেজি গাঁজা আটক হয়েছে।’

আরও পড়ুন- দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, গুলিতে নিহত ১১