বৃষ্টিতে উঠে গেছে কার্পেটিং

কার্পেটিং উঠে এমন খানাখন্দে ভরে গেছে সড়ক (ছবি- প্রতিনিধি)

মেরামতের এক সপ্তাহের মাথায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা শহর থেকে থানা পরিষদ পর্যন্ত দুই হাজার মিটার সড়কের বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সড়কগুলোর এ অবস্থা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) আলীকদম অফিস সূত্র জানায়, ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা শহর থেকে থানা পরিষদ পর্যন্ত দুই হাজার মিটার সড়কের মেরামতের কাজ করা হয়। আলীকদম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও বিএনপি নেতা আবু বক্কর এ কাজের ঠিকাদারি পান। এ দুই নেতা বান্দরবানের ঠিকাদার লেস কামালের কে-হোসাইন অ্যান্ড কোম্পানির লাইসেন্স ব্যবহার করে এ কাজ পান।

স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা মেরামতের এক সপ্তাহও হয়নি। আর এর মধ্যেই কার্পেটিং উঠে গেছে। তারা অভিযোগ করেন, কার্পেটিংয়ের সময় এলজিইডির কোনও কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। ঠিকাদারদের ইচ্ছেমতো তাদের নিয়োজিত শ্রমিকরাই এ কাজ করে।এসময় নিম্নমানের বিটুমিন ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, ১২ মিলি কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তারা ৩-৫ মিলি দিয়েই কার্পেটিং করে কাজ সেরেছে। আর এ কারণেই বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্পেটিং উঠে গেছে।

সড়কের বেশিরভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে এ অবস্থা হয়েছে (ছবি- প্রতিনিধি)

স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নাছির উদ্দিন দলের প্রভাব দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সহযোগিতায় তড়িগড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার ও স্বেচ্ছাসবক লীগের নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ঠিকাদার লেস কামালের কে-হোসাইন অ্যান্ড কোম্পানির লাইসেন্স ব্যবহার করে আমি কাজ পেয়েছিলাম, এটা সত্য। তবে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করিনি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ সাগর বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। তবে নিম্নমানের বিটুমিন বা অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।’