বিএনপির দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং জামায়াতের অনড় অবস্থানের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত নন বর্তমান মেয়র বুলবুল। ২০ দলীয় জোটের বড় শরিক দল হিসেবে রাজশাহী সিটির মেয়রের পদটি চাইছে জামায়াত। দলটির পক্ষ থেকে বলা— সবগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে গেলেও রাজশাহীতে তারা কোনও অবস্থাতেই সরে দাঁড়াবে না। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থানকে ‘ভালো’ বলে দাবি করেছে জামায়াত।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে থেকে জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা একটিমাত্র সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদ চেয়ে আসছি। এর মধ্যে আমাদের প্রথম পছন্দ রাজশাহী,আর দ্বিতীয় সিলেট। তবে বিএনপি আমাদের ছাড় দেবে কিনা, তা শুধু কেন্দ্রই বলতে পারবে। সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’ শেষ পর্যন্ত জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন এখানকার নেতারা। মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ‘আমরা একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছি। তবে সিটি নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা, তা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কেন্দ্র যেভাবে বলবে, নির্বাচনে সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মেয়র বুলবুলের মতো মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনও দলে কোনও কোন্দল থাকার কথা অস্বীকার করেন। তার ভাষ্য— ‘এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। যারা বলছে, তা তাদের নিজস্ব মতামত। বিএনপি এখন সংগঠিত দল। কিন্তু নির্বাচনে আমাদেরকে মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে আমরা কোনও প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছি না।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘পদ নিয়ে মতবিরোধ থাকবেই। তবে এখন কোনও কোন্দল আছে বলে মনে করি না। আওয়ামী লীগে বড় কোন্দল আছে। আর আমাদের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তবে গাজীপুরের নির্বাচন দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি দেশের বড় রাজনৈতিক দল। রাজশাহীতে বিএনপির শক্ত অবস্থান আছে। নির্বাচন এবং আন্দোলন, দুটির যে কোনোটি করার জন্যই আমরা সবসময় প্রস্তুত। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে, আমরা এ নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা।’