মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাতে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। বন্যায় যেসব বাড়িঘর ভেঙে গেছে বা ভেসে গেছে সেগুলো মেরামত এবং ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ১০০০ বান টিন, নগদ ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করার জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব না হবে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। আমরা জানি কোনও অভাব নাই, খাদ্য গুদামেও পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। আমি পরিষ্কার করে বলেছি, এলাকার মানুষের যে চাহিদা আমরা তারচেয়ে বেশি দিতে সক্ষম হবো।’
রাজনগর উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর এলাকার মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ কথা সঠিক নয়। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী গেছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আপনাদের বুঝতে হবে বন্যার পানি আসছে মাত্র চারদিন হলো। এই অল্প সময়ের মধ্যে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তারপরও জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। আপনারা যে কথা বলেছেন তা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বলবেন সেই জায়গায় এখনই ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।’
বন্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,‘এ বিষয়েও এখানে আলোচনা হয়েছে। আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো এবং এর স্থায়ী সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।’
পরে মন্ত্রী পৌরসভার বড়হাট এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ ড. আব্দুস শহীদ এমপি, সংসদের প্যানেল স্পিকার সৈয়দা সায়রা মহসীন এমপি, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত বারইকোনা এলাকায় মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে মৌলভীবাজার শহরের তিনটি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে শহরতলির বড়হাট এলাকা, কুসুমবাগ, বড়কাপন, যোগীডর, দুর্লভপুর, ঘরুয়া, বাহারমর্দন, সমপাশি, ভুজবল, খিদুর, দ্বারক, পাগুলিয়া,এবং সদর উপজেলার হিলালপুর ও শেখেরগাঁও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যায় ৫ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মোট ৪০ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।