সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

বন্দুকযুদ্ধসিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধের সময় এসআই জয়দেব সাহা, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার (২৩ জুন) ভোর ৩টার দিকে মাহমুদ মহল্লায় রেললাইনের পাশে ফুটবল খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাহমুদপুর রেলকলোনি মহল্লার বাসিন্দা এবং সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুট মিলসের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক মৃত হাতেম আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীরের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, সংঘবদ্ধভাবে বড় ধরনের মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা পুলিশকে দেখে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্তে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হয়ে পরে মারা যান। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে রেখেছে। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সদর থানায় কমপক্ষে ৭টি মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২৫ বোতল ফেনসিডিল, ১০৫ পিচ ইয়াবা, একটি দেশীয় পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় আহত পুলিশ সদস্যদের সিরাজগঞ্জ আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জাহাঙ্গীর মাদক ব্যবসায়ী হলেও খুচরা বিক্রেতা। মাহমুদপুর ও রেলকলোনী মহল্লায় জাহাঙ্গীরের চেয়েও বেশ ক’জন প্রভাবশালী ডিলার রয়েছে, যারা বাঁচতে আগে থেকেই কৌশলে ধরা দিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তাদের কেউ কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসায়ীই। সে বড় হোক, আর ছোটই হোক। গোপন সংবাদ পেয়েই পুলিশি অভিযান চলে। অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলায় মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।’

আরও পড়ুন- ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত