গাইবান্ধায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, সন্দেহভাজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

সন্দেহভাজন মশিউর রহমানের বাড়িতে আগুনগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুর রহমান মানু (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়ে অভিযুক্ত মশিউর রহমানের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ শনিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে আব্দুর রহমান মানুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। মানু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের পেপুলিয়া গ্রামের মৃত আইজ আলীর ছেলে। তিনি হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ছিলেন। 

স্বজনদের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানু মিয়ার কাছ থেকে মহিমাগঞ্জ বাজারের মোজাফফর রহমানের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মশিউর রহমান ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এরপর থেকে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন মশিউর। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের পর ১ লাখ টাকা ফেরত দেন মশিউর। শুক্রবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলে আব্দুর রহমানকে তার বাড়িতে ডেকে নেন মশিউর। এরপর আব্দুর রহমান রাতে বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আব্দুর রহমানের সন্ধান পাওয়া যায়নি।সন্দেহভাজন মশিউর রহমানের বাড়িতে আগুন 

শনিবার সকালে তাকে খুঁজতে পরিবারের লোকজন মশিউরের বাড়িতে যায়। এসময় বাড়ির সামনে পা-বাঁধা অবস্থায় আব্দুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেন স্বজনরা। স্বজনদের অভিযোগ, আব্দুর রহমানকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে মশিউর। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান তারা।  

এদিকে, লাশ দেখার পর স্বজন ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী মশিউরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে বাড়ির আসবাবপত্র সহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  সন্দেহভাজন মশিউর রহমানের বাড়িতে আগুন

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে বসতবাড়ির ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

তবে অভিযুক্ত মশিউর রহমান ও পরিবারের লোকজন ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।