হবিগঞ্জে রড ছাড়াই নির্মিত হচ্ছে স্কুলের বাউন্ডারি দেয়াল

রড ছাড়াই নির্মিত হয়েছে বাউন্ডারি দেয়ালহবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে রড ছাড়াই একটি স্কুলের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মুছিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের জন্য এডিপি প্রকল্পের অধীনে ৯ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে দেয়াল নির্মাণের ঠিকাদারি পায় কেবি কনস্ট্রাকশনের মালিক মো. রিপন আহমেদ। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে,শর্ত ভঙ্গ করে রড ছাড়াই দেয়াল নির্মাণ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত বুধবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি সফিউল আলম তালুকদার এ বিষয়ে উপাজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবালসহ প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সবার উপস্থিতিতে স্কুলের দেয়াল ভাঙা হলে রডের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলী জানান, এই দেয়ালের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কেবি কনস্ট্রাকশনের রিপন আহমেদকে। দেয়াল নির্মাণে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করেছে। এছাড়া, রডের কোনও ব্যবহারই করা হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।  

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কেবি কন্ট্রাকশন মো. রিপন আহমেদ দাবি করেন, দেয়ালে কোনও ধরনের বাঁশের ব্যবহার করা হয়নি। কর্মচারীরা কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়ম করতে পারে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

অভিযোগ তদন্ত করেন উপজেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দলচুনারুঘাট উপজেলা এলজিইডি’র কর্মকর্তা মীর আলী শাকের বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল বলেন, ‘তদন্ত করে নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়টি দেখেছি, ঘটনা সত্য। পুনরায় কাজটি অন্য ঠিকাদারকে দেওয়া হবে। আর এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, কাজের অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনিয়ম করলে কোনও ঠিকাদার রেহাই পাবে না।’