নওগাঁয় ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে আম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে আম নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক একজন সফল আম চাষি। ইতোমধ্যে তিনি ফ্রুট ব্যাগিং (বিশেষ ধরনের ব্যাগ দিয়ে আম ঢেকে রাখা) পদ্ধতিতে আম চাষ শুরু করেছেন। গত বছর ২০ বিঘা জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং করে লাভবান হওয়ায় এবার ৪০ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। তার মতে, কীটনাশক, পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমকে রক্ষা করতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।

কৃষি বিভাগ বলছে, নওগাঁয় আম চাষে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফ্রুট ব্যাগিং আমের চাহিদাও বেশি। কারণ এই আম কীটনাশকমুক্ত। পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়া ও বাইরের ক্ষতিকর কোনও প্রভাবই এই ব্যাগের মধ্যে ঢুকতে পারে না।

উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আম চাষি আব্দুর রহিম বলেন, আগামী বছর জেলার অনেকেই এই পদ্ধতিতে আম চাষ করবেন। ফ্রুট ব্যাগিং করার ফলে আম পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়। এতে আম থাকে বিষমুক্ত। তবে এই পদ্ধতি একটু ব্যয়বহুল হলেও আম বিক্রির লাভ থেকে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়। কারণ এই পদ্ধতির আমের চাহিদা বেশি। ক্রেতারা একটু বেশি দামে হলেও বিষমুক্ত আম কিনতে চান। তাই অনেক আম চাষিই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এই পদ্ধতির দিকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, এটি আধুনিক ও পরিবেশসম্মত পদ্ধতি। কৃষকদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সভা-সেমিনার করা হচ্ছে। তবে এই পদ্ধতির উপকরণের মূল্য কম ও সহজলভ্য হলে পদ্ধতিটির ব্যবহার বাড়বে। চলতি বছর নওগাঁ জেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে ৬ গুন বেশি।