বোমা হামলা নিয়ে বিএনপির দুই নেতার কথোপকথন- ‘তথ্যপ্রযুক্তির কারসাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রবিবার নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। অপরদিকে ‘আওয়ামী লীগের বিজয় বুঝতে পেরে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপির গণসংযোগে ককটেল হামলার ঘটনার মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলার ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের কথোপকথনের অডিও ক্লিপও পেয়েছে। আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে জানতে পেরেছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে জনগণের সহমর্মিতা অর্জন করতে এবং জনগণকে কাছে টানতে বিএনপি নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। আমাদের বিজয় বুঝতে পেরে তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
এদিকে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বুলুবলের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জাল হোসেন তপু। এতে পরোয়ানা ছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ‘গত ১৭ জুলাই বিএনপির পথসভায় বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেই বিএনপি নেতা মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই হামলা নিয়ে তার টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। এমনকি নির্বাচনি প্রচারে পথসভায় বোমা হামলার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু।’
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মন্টু সব খুলে বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর) ইফতেখায়ের আলম। তিনি জানান, ‘এই বোমা হামলাটি যে তাদের লোকজনই করেছিল, সেই ঘটনাটি মন্টু মুঠোফোনে দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে জানিয়েছেন। আর এই কথাটিও স্বীকার করেন তিনি।’