বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইল ফোনে অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব এই কথা বলেন। সিলেট মহানগরীর আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দেন তিনি।
জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, ‘ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে সিলেটের সম্প্রীতির ইতিহাসে কলঙ্কের কালেমা লেপন করছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২০নং ওয়ার্ডের এমসি কলেজ কেন্দ্র, ১১নং ওয়ার্ডের লামাবাজার কেন্দ্র ও ৭নং ওয়ার্ডের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার দুটি কেন্দ্র ও কাজীরবাজার মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ি মার্কার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কক্ষগুলোর দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী হলেও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. বদরুজ্জামান সেলিম নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। বাকি ছয়জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রথমবার প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আছেন।
এ সিটির ভোটার তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন, যা তিন সিটির মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিলেট সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ সিটিতে ১৩৪টি ভোটকেন্দ্র ও ৯২৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।
এ ছাড়া র্যাবের ২৭টি টিম ও ১৪ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৩ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোটের মাঠ ছাড়বো না: আরিফুল হক