সিলেটে তিন কেন্দ্রে সংঘর্ষের অভিযোগ

 





একটি ভোট কেন্দ্রের সামরে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইনসিলেট নগরীর তিনটি ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।    



সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ,বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কিছু সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ওই ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। তবে এখন ভোটগ্রহণ চলছে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জামিল আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। 
এদিকে, সিলেট নগরীর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রিমাদ আহমদ রুবেলের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত ছিল।
অভিযোগ পাওয়া গেছে,অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে রিমাদের সমর্থকরা রেডিও প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরে পালিয়ে যায়। সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  ওই কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। 
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান বলেন,‘আমরা শুনেছি,খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক স্কুলে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন ঝামেলা করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এছাড়া, নগরীর টিলাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে জোর করে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধানের শীষের এজেন্টরা বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর সাড়ে ১১টায় পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফিরোজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।