দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন। তারা হলেন, শাহমখদুম থানার মোড় এলাকার ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন পিঙ্কু (২৪) এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে সবুজ ইসলাম (৩২)। তারা উভয়েই কেবল লাইনের কাজ করতেন এবং মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। আর হাসপাতালে আনার পর মারা যায় নগরীর নওদাপাড়ার ভাড়ালিপাড়া এলাকার রুস্তমের মেয়ে শাহমখদুম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা (১৩)। এ ঘটনায় মিতু নামের অপর এক স্কুলছাত্রী আহত হয়েছে। তারা ওই বইয়ের দোকানে ছিল। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, অ্যারো বেঙ্গল নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী থেকে নওগাঁয় যাচ্ছিল। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে লাবিবা লাইব্রেরি নামে একটি বইয়ের দোকানের ভেতরে ঢুকে যায় বাসটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামের আরেকটি দোকান। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ৫ জন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে এক স্কুলছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে বাসটি জব্দ করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, অ্যারো বেঙ্গল বাসের হেলপার বাসটি চালাচ্ছিল। অদক্ষ হওয়ায় ও অসাবধানতায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার পর সেই হেলপার পলাতক রয়েছে। বাকি যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে পুলিশ।
জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহনের আশ্বাস দেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করায় প্রায় দুই ঘণ্টা নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন- বাড়ির সামনে পোলট্রি বর্জ্য, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দুই পরিবার