‘যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেন, তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করেন’

নীলফামারী জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভাযারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেন তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেছেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেন তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করেন। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতা নন, তিনি একজন বহুমাত্রিক নেতা ছিলেন। এটি আমার কোনও আবেগের কথা নয়, এটাই বাস্তবতা। ’

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। তার কথায় দেশের অগণিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জয়বাংলা স্লোগানে সবাইকে এক করে দেশের মুক্তি সংগ্রামে জাগ্রত করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল তার স্বাধীনতার ঘোষণা। স্বাধীনতা পরবর্তী হাজারো সমস্যার মাঝে দেশটাকে সাজিয়েছেন। এসব বঙ্গবন্ধুর দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন দেশের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষির বিপ্লব ঘটেছে। সারের পেছনে মানুষ ঘোরে না, সার নিতে গিয়ে মানুষ আর মরে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের রাজনীতিতে পরিবর্তন এনে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। শুধু ধর্মের নামে রাজনীতি হয় না। বিদেশে মানুষ দেশের পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। কোন ধর্মের মানুষ তা কিন্তু তারা বলেন না। যেমন আমরা বলি বাংলাদেশি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আলীম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রমেন্দ্রনাথ বর্ধন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরিফা সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ । এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।