রো রো ফেরি চলছে না শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে

ফেরিদক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নাব্য সংকট কিছুটা কাটিয়ে এখন ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু চারটি রো রো ফেরি এখনও চলতে পারছে না। এই ফেরিগুলোই সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে বেশি যানবাহন পারপার করতে পারে। এদিকে ঘাট এলাকায় এখনও দেড় থেকে দুইশত গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। নাব্য সমস্যা পুরোপুরিভাবে নিরসন না হলেও ঘাট এলাকায় গাড়ির চাপ স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকেই নৌরুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। কে-টাইপ, মাঝারি ফেরির সঙ্গে ডাম্প ফেরি চলাচল করছে নৌরুটে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ‘নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। নাব্য সংকটের কারণে চ্যানেলের মুখে ডাম্পফেরিগুলো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। রো রো ফেরি চলছে না।’ফেরি

তিনি আরও জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দুই পাড় মিলিয়ে ৬৯টি যাত্রীবাহী বাস, ২৪৮ টি ট্রাকসহ মোট ১ হাজার ৯৪০টি যানবাহন পার করা হয়েছে। ঘাটের বাইরে ৫০টির মতো ট্রাক আছে যেগুলো আমরা এখন পার করবো না। এছাড়া, শুধু গরু বহন করার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকগুলো আমরা পার করে দিচ্ছি।’

মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘ঘাট এলাকায় বর্তমানে ২০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি আছে। তবে গাড়ির যেই সংখ্যা যা সেটা শিমুলিয়া ঘাটের জন্য স্বাভাবিক চাপ।’

এদিকে, ঘাটে ফেরি চলাচলে বিঘ্নতার কারণে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী বাস ঘাটে যাত্রীদের নামিয়ে ফের ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যাচ্ছে। যাত্রীরা লঞ্চ ও সিবোটে নদী পার হচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, ‘সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। ৮৭টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা নদী পারাপার হচ্ছেন। তবে চাপ থাকলেও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছেন।’

আরও পড়ুন- ঈদে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ভোগান্তির আশঙ্কা