সেতুর জন্য দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই ভরসা সাত গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের (ছবি- প্রতিনিধি)

বগুড়ার সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের হাটকরমজা গ্রামে সুখদহ নদীর ওপর কোনও সেতু নেই। এতে ইউনিয়নের সাত গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে ইউনিয়ন বা উপজেলায় যান তারা। বর্ষায় যাদের নৌকা আছে তারা কেবল নৌকা দিয়ে নদী পার হয়। আর যাদের তা নেই, তাদের চার কিলোমিটার পথ ঘুরে ইউনিয়ন বা উপজেলায় যেতে হয়। সাঁকো দিয়ে শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষ নদী পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। বর্ষায় দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

হাটকরমজা গ্রামের পিন্টু মিয়া, রোজিনা আকতার, শহীদ হাসান, আল-মামুনসহ আরও অনেকে জানান, বছরের পর বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সুখদহ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু তৈরির আশ্বাস দেন। তবে ভোট গেলে আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।

স্থানীয়রা আরও জানান, শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার পূর্ব করমজা, পশ্চিম করমজা, শেখাহাতি, চকরাধিকা, ধলিরচর, গনসারপাড়া, করমজাসহ সাত গ্রামের নানা পেশার মানুষ ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করেন। বর্ষায় তাও সম্ভব হয় না। তখন প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের ইউনিয়ন বা উপজেলায় যেতে হয়।

জোড়গাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মণ্ডল জানান, সুখদহ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা করবো।’

সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করা হবে।’