খাগড়াছড়িতে গুলিতে ৭ জন নিহত: যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

খাগড়াছড়িখাগড়াছড়ি শহরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দুই দফা গোলাগুলিতে সাত জন নিহতের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান জানান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে এই অভিযান চলছে। পুরো সপ্তাহ জুড়েই অভিযান চলবে। পরে প্রয়োজনে অভিযানের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে।’

এদিকে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহদাত হোসেন টিটু জানান, ‘ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রবিবারই তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এখনও কোনও মামলা হয়নি।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে  পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে এই কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু ইউছুফকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল তাবরীজ। সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মো. সালাহ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ড. নয়নময় ত্রিপুরা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন। কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির স্বর্নিভর বাজারে শনিবার সকালে পাহাড়ি সংগঠন ইউপডিএফের এক কর্মসূচি শুরুর আগে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ছয় জন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন। এই হামলার জন্য প্রতিপক্ষ জেএসএসকে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই নাশকতা ঘটেছে।

পরে ইউপিডিএফ দুপুরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে ফের সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় শন কুমার চাকমা নামের একজন আহত হন, পরে তিনি মারা যান। শহরের প্যারাছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন- 

খাগড়াছড়িতে গোলাগুলিতে ৭ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের কর্মসূচিতে গুলি, নিহত ৭

খাগড়াছড়িতে গোলাগুলি: আধিপত্য বিস্তার না অভ্যন্তরীণ কোন্দল?

পাহাড়ে ১০ মাসে প্রাণ গেলো ৩৩ জনের