বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই পাঁচ নেতাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওই সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে শোকজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট আওয়ামী লীগের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার করণীয় নির্ধারণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশ দেন বলে দলীয় সূত্র জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত পরিশ্রম করেছি। শুনেছি, যার পুরস্কার হিসেবে আমাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি অভিযোগ করেন, আমরা যখন দলের প্রার্থীকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, তখন আমাদের দলের প্রার্থী জামায়াতের সঙ্গে গোপন সখ্য রেখে কাজ করছিলেন। যা আমাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। এমনকি কামরান ভাইয়ের ব্যবসায়িক সম্পর্কও রয়েছে জামায়াতের সঙ্গে। তিনি ভেবে ছিলেন— জামায়াতকে হাতে নিলেই তার বিজয় নিশ্চিত হবে। আসলে এটাই ছিল তার ভুল সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৩৯২টি, বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৮৮টি, জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার।