‘মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পাবেন’

১১মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা এখন বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পাবেন। দুটি ঈদ বোনাসের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ, মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে উৎসব বোনাস দেওয়া হবে।’

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে শেরপুরের নকলা পৌর শহরে নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্যে ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব চিকিৎসার ব্যয়ভার ইতোমধ্যেই সরকার গ্রহণ করেছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরোচিত ঘটনাবলির বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে একশ’ নম্বরের প্রশ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের নির্যাতনের ইতিহাস সংক্রান্ত ৫০ নম্বর এবং মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের ইতিহাসের ওপর ৫০ নম্বর থাকবে।’

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নকলা-নালিতাবাড়ীর এমপি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার বিভিন্ন পাঁয়তারা করেছেন। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছিলেন। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। এখন মুক্তিযোদ্ধাবান্ধব সরকার ক্ষমতায় থাকায় তারা নিজেদের পরিচয় দিতে গৌরব বোধ করেন।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরো, নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, নকলা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল মুনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।