দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের আগমনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে। এই সম্মেলনকে এলাকার ভোটাররা সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনি শোডাউন হিসেবে দেখছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে এবারও মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। জাতীয় পার্টির অন্যতম দুর্গ হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ১৯৭৩ সাল থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটিতে চার বার লাঙল এবং তিন বার নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। বর্তমানে আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে।
দেখার হাওর, খরচার হাওর, আঙ্গারুলি হাওরসহ সুরমা ও চলতি নদীবেষ্টিত (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) সুনামগঞ্জ-৪ আসন। আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬২৬ জন। ৫৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট আসনটিতে ব্যাপক সংখ্যক গারো-হাজং আদিবাসী রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও মৎস্যজীবী।
এরশাদের আগমন প্রসঙ্গে পীর ফজলুল রহমান মিসবাহ বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদকে সুনামগঞ্জের মানুষ ভালোবাসে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের উন্নয়নের সূচনা হয়েছে জাতীয় পার্টির হাত ধরে। তাই আগামীকালের সম্মেলনে গণমানুষের জোয়ার বইবে।’
জেলা জাপার সদস্য ও সদর উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজু বলেন, ‘পীর মিসবাহ একজন ভালো ইমেজের রাজনীতিবিদ। সুশিক্ষিত গ্রহণযোগ্য ও সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার। তার নেতৃত্বে জেলায় জাতীয় পার্টি নতুন করে জেগে উঠেছে। বিগত বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও পীর মিসবাহকে ভোটাররা বিজয়ী করবেন।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মাস্টার বলেন, ‘সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে জাতীয় পার্টি। তাই জনগণ আগামীতেও জাপা প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।’
এরশাদের আগমনকে কেন্দ্র করে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট থেকে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ ও পীর মিসবাহর সমর্থনে পোস্টারিং করেছেন জাপা সমর্থকরা।