সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে নিহত রবিনের দাফন নরসিংদীতে

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে পুড়ে নিহত রবিনের লাশ নরসিংদী জেলার মাধবদীতে দাফন করা হয়েছে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজার নামাজ শেষে মাধবদীতে নিজ বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে রাত ২টায় সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়। এর আগে ১৩ এপ্রিল রিয়াদের একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রবিনসহ আরও ৭ বাংলাদেশি প্রাণ হারায়।

জানা যায়, রবিন মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠালিয়ার আলগী কান্দাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবুল হোসেনের ছেলে।

সরেজমিন দেখা যায়, রবিনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে।

পরিবারের সদস্যরা জানান- বাবা-মা, তিন ভাই ও এক বোনকে দেশে রেখে পরিবারের অভাব দূর করার স্বপ্ন নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা ধার-দেনা করে বিদেশে পাড়ি জমান রবিন। মারা যাওয়ার দুইদিন আগে মা রিনা বেগমের সঙ্গে কথা বলেন রবিন। এসময় সেখানে কাজ পাওয়ায় বিলম্ব ও থাকা খাওয়ার কষ্টের কথা জানিয়েছিলেন মাকে। কষ্টের পরও কাজ পাওয়ায় খুশি হয়েছিলেন রবিন। বেতন পাওয়া শুরু করে ঋণের ছয় লাখ টাকা পরিশোধের পর সংসারের অভাব দূর করে দেবেন বলেও আশা দিয়েছিলেন।

রবিনের মা রিনা বেগম বলেন, ‘মারা যাওয়ার দু’দিন আগেও ছেলের সঙ্গে কথা বলে কষ্টের বিবরণ শুনেছি। এরপর ঋণের টাকার জন্য চিন্তা-ভাবনা না করতে আশ্বস্ত করেছিল। বলেছিল, সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই চলে গেলো আমাদের ছেড়ে। তার ধার-দেনা এখন কীভাবে পরিশোধ করবো ভেবে পাচ্ছি না। তার বাবাও স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না।’

নিহত রবিনের বাবা আবুল হোসেন জানান, রবিনের লাশ দেশে আসবে এমন কোনও খবর সরকারিভাবে জানতে পারিনি। হঠাৎ তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বিমানবন্দর গিয়ে ছেলের মৃতদেহ গ্রহণ করি।