হত্যা মামলার আসামির পুলিশ প্রটোকলে সমাবেশ!


পুলিশ প্রটোকলে ইউপি চেয়ারম্যানের সমাবেশহত্যা মামলার এজারহারভুক্ত আসামি কয়রা উপজেলার ১ নম্বর আমাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমীর আলী গাইন পুলিশ প্রটোকলে মিছিল সমাবেশ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার জেলার আমাদি বাজারে এ সমাবেশ হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাঈদ আল মামুনসহ স্থানীয় থানা ও ক্যাম্পের ২৪ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বলেন, ‘মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের অনুমোদন হয়েছে। যে কারণে তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেছেন আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি সিআইডির ওপর নির্ভর করে। তবে, মামলা যার কাছেই থাক না কেন, পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করতে পারে।’
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি খুলনা ও ঢাকা সফর শেষে সোমবার বাড়ি ফেরেন। এরপর এলাকাবাসী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এসময় তিনি তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
আমাদি বাজারে সমাবেশস্থলে কয়রা থানার এসআই আসাদ, এসআই জমির উদ্দিন, এসআই আল মামুন, এএসআই খায়ের, এএসআই সামাদ, আমাদি ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই হাসিব, হড্ডা ক্যাম্পের ইনচার্জসহ ১৭-১৮ জন কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ প্রটোকলে ইউপি চেয়ারম্যানের সমাবেশ
কয়রা থানার এসআই সাঈদ আল মামুন জানান, মামলাটি ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডিতে হস্তান্তর হয়েছে। যে কারণে আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেননি। তবে, বিনা অনুমোতিতে সমাবেশ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়েছিলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি খুলনার ইন্সপেক্টর খান সরোয়ার হোসেন বলেন, তিনি সোমবার দুপুরে মামলার ডকুমেন্ট  হাতে পেয়েছেন। এখন আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেবেন।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস জানান, প্রকাশ্যে আসামির উপস্থিতিতে সমাবেশের বিষয়টি তার জানা নেই। আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, পিকআপ চালক সেলিম শেখ হত্যার ঘটনায় মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলায় আমাদি ইউপি’র চেয়ারম্যান আমীর আলী গাইন ও তার ছেলে হাবিবুল্লাহ বাহারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।