উপজেলার লক্ষ্মীপুর জুলফিকার জাহানারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম দাবি করেন, তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক সালমা আক্তার অনিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। এ কারণে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সহকারী শিক্ষিকা সালমা বেগমকে কয়েক বার মৌখিকভাবে সতর্ক করেন তিনি। এরপরও অনিয়মিতভাবে স্কুলে আসা যাওয়া করায় সালমা বেগমকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখান। এতে সহকারী শিক্ষিকার স্বামী হাজী ফুল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর থানার মোড়ে ডেকে নিয়ে মাসের উপস্থিতির বিবরণীতে কী লেখা আছে দেখতে চান। মাসিক বিবরণীতে তার স্ত্রী’র নামের পাশে ‘অনুপস্থিত’ লেখা জেনে আব্দুল হালিমকে কিল ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আব্দুল হালিম আরও অভিযোগ করেন, এসময় তাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম আরও বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালন করার কারণেই আমার স্কুল সংলগ্ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে আলতাফুর রহমান বলেন, ‘এমনিই একটু ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়েছি। তার গায়ে হাত তুলিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’