আঁখি বেগমের বাবা আউয়াল জানান, প্রায় ৬ বছর আগে তার মেয়ে আঁখি বেগমের সঙ্গে বিজয়নগর চকের বাড়ি এলাকার ছিদ্দিকের ছেলে হারুন অর রশিদের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি আঁখির স্বামী হারুন অর রশিদ মালয়েশিয়ায় চলে যান। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকে তার ভাসুর কবির হোসেন ও দেবর ইসমাইল বিভিন্ন কারণে আঁখির ওপর নির্যাতন চালাতো। মঙ্গলবারও তারা আঁখি বেগমের ওপর নির্যাতন চালায়। বুধবার সকালে আঁখি বেগমের থাকার ঘর থেকে ঘরে হাঁটু গেড়ে বসা ও ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আওয়াল বলেন, ‘কবির ও ইসমাইল আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’ ঘটনার পর থেকে কবির হোসেন ও ইসমাইল পলাতক রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম জানান, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’