যশোরে দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ দশ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাজিব হাসান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের দড়াটানায় জেনারেল হাসপাতালের সামনে যশোর ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ঘোপ নাওয়াপড়া রোডে সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এই জরিমানা করেন।
আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে দেখতে পান, যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সেখানে প্যাথলজিস্ট নেই,পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই, ড্রাগ সুপার অফিসের কোনও অনুমোদন নেই; জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাজিব হাসান প্রতিষ্ঠানটির মালিক গোলাম সরোয়ারকে ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন।
অপরদিকে, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার এমকে চক্রবর্তী (এমবিবিএস) নামে একজন ভারতীয় নাগরিক ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বেশি ভিজিট নিয়ে রোগী দেখছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তিনি একজন ভুয়া চিকিৎসক । এসময় আদালত প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার সঞ্জয় কুমারকে একই আইনের একই ধারায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন।
অভিযানকালে সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।