নওগাঁয় এক পুকুরে ডুব দিয়ে একটানা দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিলেন ‘মৎস্যমানব’ খ্যাত কুমিল্লার মিজান চৌধুরী। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ড্যাফোডিলস স্কুল সংলগ্ন শহরের গাঁজা সোসাইটি পুকুরে তিনি এই কসরত প্রদর্শন করেন। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। প্রদর্শনীর পর রাতে শহরের ড্যাফোডিলস স্কুল মঞ্চে মিজান চৌধুরীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষে আগতদের সামনে এই কসরত দেখান দেশের খ্যাতিমান ডুব-সাঁতারু মিজান। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সাঁতারু মিজান পানির নিচে ডুবে ছিলেন। আগে থেকেই সেখানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে একটি চেয়ার আটকানো ছিল। সেই চেয়ারে বসে তিনি আপেলসহ বিভিন্ন খাবারও গ্রহণ করেন।অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পুকুরের চারপাশে অনেক দর্শনার্থীর ভিড় করেছিল।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেল প্রশাসক মিজানুর রহমান, একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারী, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, একুশে পরিষদ নওগাঁর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রউফ পাভেলসহ আরও অনেকে। দুই ঘন্টা ডুবে থাকার পর নওগাঁর পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন ডুবারু মিজানকে হাত ধরে পানি থেকে তুলে আনেন। এসময় একুশে পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ গন্যমান্য ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ড. মমিনুল হক বলেন, ‘মিজান চৌধুরীসহ আরও অনেকে আছেন যারা প্রাকটিসের মাধ্যমে এটি সম্ভব করেছেন। একটু একটু করে সময় বাড়াতে বাড়াতে আজ তারা এতো সময় পানির নিচে থাকতে পারেন। এটি সম্ভব।’
জানা যায়, ‘মৎস্যমানব’ মিজানুর রহমান চৌধুরী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার অতিশ্বর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ১৯৭১ সারেল ১২ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। ২০০০ সালের মে মাসে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় কচুয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন পুকুরে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা পানিতে ডুবে থাকায় তাকে মৎস্যমানব হিসেবে খ্যাতি পান তিনি।