‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্প থেকে ঘর পেলো জিপিএ-৫ পাওয়া রাবেয়া

রাবেয়ার ঘর উদ্বোধন করছেন জেলা প্রশাসক

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া রাবেয়া খানম অবস্থান করছিল আশ্রয়কেন্দ্রে। বন্যায় নিজের বাড়িঘর ভেসে গেছে তার। তাই ফোন করে উপজেলা প্রশাসনকে এ তথ্য জানায় সে। এরপর তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জমি আছে, ঘর নাই’ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সিলেটির কমলগঞ্জ উপজেলায় ওই শিক্ষার্থীর জন্য ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর সিলেটির কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে এই ঘর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবুসহ আরও অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাবেয়া খানম রামেশ্বরপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ে। তার পরিবারে বাবা-মাসহ ৮ সদস্য। তারমধ্যে চার ভাই ও দুই বোন। ভাইবোনের মধ্যে রাবেয়া বড়। রাবেয়াকে ছোট রেখে মা মারা যান। এরপর তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। রাবেয়ার পরিবারের আয় করেন একমাত্র তার বাবা। রাবেয়া পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর সে শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। 

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জের ইউএনও মো. মাহমুদুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি বন্যায় ত্রাণের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফোন করেছিল রাবেয়া খানম। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া মেয়েটি তখন জানিয়েছিল- ঘরটাও বন্যায় ভেসে গেছে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ‘‘জমি আছে, ঘর নেই’’ প্রকল্পের আওতায় রাবেয়াদের ঘরটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাই ডিসি স্যার রাবেয়ার ঘর উদ্বোধন করতে এলেন। ঘরটি হয়তো খুব বড় নয় কিন্তু বর্তমানে কলেজে অধ্যয়নরত অদম্য রাবেয়া সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি তো পাবে এবং তাকে লেখাপড়ায় সব ধরনের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ‘‘জমি আছে, ঘর নেই’’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারজুড়ে এই কার্যক্রম চলছে। যার জায়গা আছে কিন্তু ঘর নাই, সরকার তাদের ঘর করে দিচ্ছে। এরমধ্যে মেধাবী ছাত্রী রাবেয়া খানমের ঘর উদ্বোধন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে ১৫০টি মতো ঘর করে দেওয়া হয়েছে। কমলগঞ্জে ৫০৫টি মতো ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। এভাবে যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকার থেকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সরকারিভাবে নিধারিত ডিজাইন অনুযায়ী ঘর তৈরি করা হচ্ছে।’