বগুড়ায় পেট্রোল বোমা হামলায় যুবদলের ১০ নেতাকর্মীর নামে মামলা




গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর বগুড়ার শাজাহানপুরে নাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল হামলার ঘটনা ঘটেবগুড়ার শাজাহানপুরের সাজাপুর এলাকায় ঢাকাগামী চলন্ত কোচে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় যুবদলের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এসআই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হামলার পরপরই পুলিশ ধাওয়া করে জেলা যুবদলে সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে। মামলায় নুর মোহাম্মদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- খরনা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, যুবদল নেতা মো. মুঞ্জু, আশেকপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আকরাম হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ, জেলা যুবদল নেতা আজমল হুদা শহীদ, শাজাহানপুর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন, মাঝিড়া ইউনিয়ন যুবদল কর্মী লোকমান, চোপিনগর যুবদল নেতা মজনু মিয়া ও শাহীন।

পুলিশ জানায়, নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল ক্লাসিকের একটি কোচ বুধবার বেলা ১টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে টিএমএসএস পাম্পের সামনে পৌঁছে। এ সময় মোটরবাইকে থাকা শাজাহানপুরের মাঝিরাপাড়া গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদ একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে কোচের সিটে আগুন ধরে যায়। এ সময় বাসটির যাত্রী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০) ও সদর উপজেলার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৫০) আহত হন। হামলার পরপরই টহল পুলিশ ধাওয়া করে যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতার আসামি নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।