উদ্বোধনের সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এলজিআরডি সচিব ড. জাফর আহমেদ।
অপরদিকে জামালপুর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-৫ সদর আসনের এমপি সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ রেজাউল করিম হীরা, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের এমপি আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুরের সংরক্ষিত আসনের এমপি শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের বড় মেয়ে মাহজাবিন খালেদ বেবী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কবীর, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও কনফারেন্সে এলাকাবাসীকে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দুটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ইসলামপুর পাইলিংঘাট-সভাকুড়া এবং ডিগ্রিরচর-ডেফলা ঘাটে দুটি সেতুসহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু দুটির ওপর দিয়ে ট্রাক-বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারী চলাচল শুরু করেছে। সেতুর ফলে উপজেলার গোয়ালেরচর, গাইবান্ধা, চরপুঁটিমারী, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নসহ মেলান্দহের শ্যামপুর ইউনিয়ন, শ্রীবর্দী ও বকশীগঞ্জ উপজেলাসহ জামালপুর ও শেরপুর জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে বদলে গেছে চরাঞ্চলের ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রার মান।