মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন– ছাত্রদল নেতা শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপি নেতা মমিন ও রুবেল। গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি কাঠের লাঠি, ১০/১৫ পিস কাচের টুকরা, বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু অংশ ও একটি পুরাতন ছোট টায়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক জানান, মামলায় এজহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন– নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউনন্সিলর ইকবাল হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সাদরিল, সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের পিএস ফজলুল হক, গোলজার খান, জসিম, কানা আনার ওরফে বোমা আনোয়ার, ইমাম হোসেন বাদল, বিদেশে অবস্থানরত আদমজী ইপিজেডের ব্যবসায়ী আকরাম, পান্না, সালাহউদ্দিন, পল্টু কর্মকার, মুসা, আহমেদ লালা, দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাগর, আসলাম মণ্ডল, মামুন ওরফে বিদ্যুৎ মামুন, নাজিম পারভেজ অন্তু, শাকিল, মোশারফ, পিন্টু মিয়া, আকবর আলী, রওশন চেয়ারম্যান, তাজুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, হাসান পারভেজ, আব্দুল আল মামুন, হাজী জসিমউদ্দিন, আল মামুন ওরফে বাঘ মামুন, আহসানউল্লাহ, মোস্তফা মুন্সী, আনোয়ার হোসেন, জালালউদ্দিন, সালাহউদ্দিন ওরফে রবিনহুড, নূরে আলম, নূর হোসেন, খাইরুল, দেলোয়ার, আহমেদ মান্নান, মোজাম্মেল, নুরুদ্দিন মেম্বার, আবুল কালাম, সাহাবুদ্দিন, রুবেল, আক্তার, মশিউর রহমান মশু, স্বপন মণ্ডল, হাজী নজরুল ইসলাম পান্না, হুমায়ুন, বায়েজীদ হাসান, খালেক টিপু, গাজী নূরে আলম, মনির।
মামলায় অভিযোগ করা হয়– আসামিরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী সড়কে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিছিল করে ও ভাঙচুর করে। এসময় তারা ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটান। সেখান থেকেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিভিন্ন সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।