যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, জনগণের স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করেছেন: চরমোনাই পীর

নীলফামারিতে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই জনগণের স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করেছেন।’

বৃহস্পতিবার বিকালে নীলফামারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচনকে সামনে রেখে দুটি রাজনৈতিক দল মুখোমুখি অবস্থানে থেকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার। অতীতে বহু নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের মানুষ নির্বাচিত এবং অনির্বাচিত দুই ধরনের স্বৈরাচারই দেখেছেন। ঘুরে ফিরে আবার তাদের ক্ষমতায় বসালে দেশে অশান্তি আরও বাড়বে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে ৩০০ আসনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী দেবে। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে দেশে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো। দুর্নীতি ও মাদক উৎখাত করে সমঝোতা ও সহনশীল রাজনীতির বিকাশ ঘটাবো। শ্রমজীবী, সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কায়েম করবো। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হলে নারীর নিরাপত্তা ও অগ্রাধিকার পাবেন।’

তিনি অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। এরপর সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচনের দিন তাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার সভাপতি শেখ আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, দলের যুগ্ন মহাসচিব এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল এম হাছিবুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আতিকুর রহমান মুজাহিদ প্রমুখ।

সভায় মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নীলফামারী- ১ আসনে সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে জহুরুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আমজাদ হোসেন ও নীলফামারী-৪ আসনে সহিদুল ইসলাম বিল্লালকে প্রার্থী করার ঘোষণা দেন।