অথেলো চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার রাত ১০টার দিকে মালিন্দো এয়ারের একটি ফ্লাইটে চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক চ্যান গি কিয়ং ঢাকা আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় বিমানবন্দরের ১১ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে থাকা মালিন্ডো এয়ারে আসা ওই যাত্রীর চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে অনুসরণ করা হয়। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পরে তার কাছে শুল্ককর আরোপযোগ্য পণ্য আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তার নিকট কোনও ব্যাগেজ ঘোষণাপত্রও পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার দেহ তল্লাশি করা হলে শার্টের নিচে থাকা স্যান্ডো গেঞ্জির ভিতরে একটি ভিন্নধর্মী জ্যাকেট পাওয়া যায়। জ্যাকেটের মধ্যে সাতটি ছোট ছোট পকেট থেকে কার্বন পেপারে মোড়ানো হলুদ স্কচটেপে প্যাঁচানো সাতটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সোনার বারগুলোর প্রতিটি এক কেজি হিসাবে মোট ওজন সাত কেজি।’
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই ঘটনায় ‘দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯’ ও ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আটক যাত্রীকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হবে।