বরিশালে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে সরকারি চাল জব্দ

গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য হেলেনা খানমের বাড়ি থেকে রবিবার রাতে খাদ্যবান্ধন কর্মসূচির চাল জব্দ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় ইউপি সদস্য ও তার লোকজন সরকারি দুই কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হন।
জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করে ইউপি সদস্য হেলেনা খানম নিজের লোক দিয়ে ওই চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় তার বাড়িতে ভ্যানযোগে চাল নিয়ে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। এক সঙ্গে আট বস্তা চাল নিয়ে যেতে দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিনের কাছে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার চৌধুরী ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গৌড়াঙ্গ প্রসাদ গাইনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হেলেনা খানমের বাড়িতে চাল দেখতে পান। এ সময় চাল সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হেলেনা খানম ও তার লোকজন সরকারি দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন।
একপর্যায়ে তারা তিন বস্তা চাল জব্দ করে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল হাওলাদারের জিম্মায় রেখে আসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি তারা কিছু চাল জব্দ করেছে। তবে এখনও এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেননি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হেলেনা খানমের পক্ষে তার স্বামী পান্না মৃধা জানান, তাদের সঙ্গে মজিবর রহমান নামে এক ইউপি সচিবের বিরোধ আছে। তারা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এই চাল ১০ টাকা কেজি দরের চাল নয় দাবি করে তিনি জানান, পূজা উপলক্ষে বিতরণ করার উদ্দেশ্যে ১শ ২৫ কেজি চাল কেনা হয়।