‘কলিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে মিঠু’

চট্টগ্রাম

ইটভাটার শৌচাগার থেকে কিশোরী কলি আক্তারের (১৬) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার নজরুল ইসলাম মিঠু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা আহমেদের আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জবানবন্দিতে মিঠু কলি আক্তারকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।

এর আগে বুধবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়াধীন ফাইভ টু ফাইভ নামে একটি ইটভাটার শৌচাগার থেকে কলির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ নজরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করে।

পরিদর্শক শামীম শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিঠু জানিয়েছে, ঘটনার দিন কলি আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় মিঠু। পরে ফাইভ টু ফাইভ ইটভাটায় ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে হত্যা করে। এ কাজে তার কোনও সহযোগী ছিল না বলেও সে জানায়।’

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিখোঁজ হন কলি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) তার বাবা ছোট্টু মিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে স্থানীয়রা ভেতরে লাশ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে।

নিহত কিশোরী কলি আক্তার মির্জাপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছোট্টু মিয়ার মেয়ে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে কলি সবার ছোট।

অন্যদিকে, গ্রেফতার মিঠু একই ইউনিয়নের সন্দ্বীপ কলোনির মো. ইউছুপের ছেলে। কলির পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, মিঠু দীর্ঘদিন ধরে কলিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার কথায় রাজি না হওয়ায় শনিবার তাকে তুলে নিয়ে যায়।