বাবাকে না পেয়ে ছেলেকে থানায় আটকে নির্যাতনের অভিযোগ

খুলনাখুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, এক বিএনপি নেতাকে না পেয়ে তার ছেলেকে ২৪ ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে নির্যাতন করেছে পুলিশ। পরে নাশকতার কথিত মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।  

খুলনা মহানগর বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক সামছুজ্জামান চঞ্চল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বাচ্চু মীরের বাসভবনে যায় পুলিশ। তারা বাচ্চু মীরকে না পেয়ে তার ছেলে সৈয়দ হাসান আলীকে থানায় নিয়ে আসে। এ অবস্থায় বাচ্চুকে থানায় গিয়ে ধরা দেওয়ার নির্দেশ দেন ওসি। কিন্ত বিএনপি নেতা বাচ্চু থানায় না যাওয়ায় শুক্রবার বেলা ৩টায় তার ছেলে হাসানকে কথিত নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বাবার অভিযোগ ছেলের ওপর চাপানোর অভিযোগ ঠিক না। হাসান নিজেই নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত। সে কারণেই হাসানকে ধরে আনা হয়েছে।’

মহানগর বিএনপির নেতারা শুক্রবার বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের দায়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘আটকের পর হাসানকে বিদ্যুৎহীন, খাবারহীন, মশক যন্ত্রণাময় স্থানে সারারাত নিদ্রাহীন রেখে জুমার দিনে নামাজ পড়তে না দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, এতে পুত্রের অপরাধ কী? আর বিএনপি কি কোনও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল?’

বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা উল্লেখ করেন, গত এক মাসে প্রথম দফায় ১৫টি গায়েবি মামলায় ৪২ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩টি গায়েবি মামলায় ১১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ থানা।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন, আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।