নেত্রকোনায় শিবিরের সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচ জন গ্রেফতার

গ্রেফতার

নাশকতার পরিকল্পনার মামলায় নেত্রকোনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে শহরের কুড়পাড় এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি বোরহান উদ্দিন খান আরও জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুইটি পাইপগান, পাঁচটি কার্তুজ, ১১টি ককটেল, পাঁচটি পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্য, একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিপিইউ, ক্যামেরা, সাউন্ড বক্স, মাইক্রোফোন, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন– আবু হুরায়রা মিলকী (২৭), আবু ইসহাক (২২), মো. কামরুল ইসলাম (২৫), মো. আবুল সালিক (২৩) ও মো. নাইম (২২)। এর মধ্যে আবু হুরায়রা মিলকী নেত্রকোনা জেলা শিবিরের সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাযটুটি গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম মিলকীর ছেলে। মো. কামরুল ইসলাম শিবিরের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি নেত্রকোনার মদনের ত্রিপন গ্রামের মো. মহিম উদ্দিনের ছেলে। মো. কামরুল ইসলাম ওই কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মো. আবুল সালিক জেলা শিবিরের সদস্য। তিনি সিলেট শাহজালাল জামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের পেরিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। আর মো. নাইম জেলা শিবিরের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি পূর্বধলার কাজলা গ্রামের মো. কামাল মিয়ার ছেলে ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

ওসি বোরহান উদ্দিন খান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই শিবির নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নামে থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। বর্তমানে থানায় এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’