জলঢাকায় ১৪ পরিবারের ২১টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই

১২৩

নীলফামারীর জলঢাকায় বালাগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব বালাগ্রাম উত্তর পাড়া গ্রামে আগুনে পুড়ে ১৪টি পরিবারের ২১টি বসতঘর ও ঘরে থাকা মালামাল ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রবিবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে জলঢাকা দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়।

গ্রামের সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র সুজন রায় জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুনিল চন্দ্র রায়ের রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় ওই চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাদের তিনটি বসতঘরসহ ১৪টি পরিবারের ২১টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

একই ইউনিয়নের শালন গ্রামের বাসিন্দা মীর সোহেল জানান, ওই অগ্নিকাণ্ডে পরিবারগুলোর ধান, চাল, নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ সকল প্রকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়েছে। পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এতে ১৪টি পরিবারের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে, বালাগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪টি পরিবারের ২১টি ঘর ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার পক্ষ থেকে রাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাল ও নগদ এক হাজার টাকা করে বিতরণ করেছেন।