হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিলুর রহমানের সমর্থকরা লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়াসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে এই আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমানের সঙ্গে স্থানীয় আমির সোহেল গ্রুপের পরিবহন চাদাঁবাজি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরেই দুপুর বারোটার দিকে আমির সোহেলের নেতৃত্বে কয়েকজন মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের খলিল মেম্বারের মালিকানাধীন পোল্টি ফিডের দোকানে হামলা চালিয়ে খলিলুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির সোহেল গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ও মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।
পরে আমির গ্রুপ পাল্টা হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাট। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ আসেনি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে খলিলুর রহমানকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।