প্রসঙ্গত, এ আসন থেকে ১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল, মহানগর বিএনপিরর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবুল কালাম শাহিন, আইনজীবী আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আইনজীবী মহসিন মন্টু, কোতোয়ালি বিএনপির সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা জাকির হোসেন নান্নু, ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চারজনের মধ্যে হবে বলে জানা গেছে। তারা হলেন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবায়েদুল হক চান ও হাবিব কামাল।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে সরোয়ার নির্বাচনি মাঠ ছেড়ে দেন। এ কারণে ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বরিশাল থেকে প্রথমবারের মতো বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার জামানাত হারান। এ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের সাফ কথা, সরোয়ার কোনও প্রতিরোধ না করে মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।
সূত্রটি আরও জানায়, সরোয়ারকে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন চাপিয়ে দেয়া হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তারা বিসিসি নির্বাচনে সরোয়ারের অবস্থান মূল্যায়ন করেই সংসদ নির্বাচনে থেকে দূরে রাখতে চাইছেন। এমনকি কারাগার থেকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও নাকি কেন্দ্রীয় নেতাদের এ নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে বরিশাল সদর আসনে এ বছর প্রার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। সরোয়ার তার প্রতি সমর্থন নিতে অনুসারীদের দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, চাওয়া-পাওয়ার হিসাবে একেবারে শূন্যের কোঠায় এবায়দুল। তিনি সারাজীবন দলকে দিয়েছেন। এ কারণে কেন্দ্রীয় নেতাদের সদয় দৃষ্টি রয়েছে তার দিকে। সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে চাইলে তাকে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়।
এবায়দুলকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আপনার অবস্থান কী হবে-এ প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, ‘তিনি দল থেকে কিছুই পায়নি। তাকে দেওয়া হলে তার পক্ষে কাজ করবো। এ নির্বাচন হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষার নির্বাচন। দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তাকেই জয়ী করার চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকাদর জিয়া বলেন, ‘যে প্রার্থী তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে নগরবাসীর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাকে সদর আসনের প্রার্থী করার আশা করছে মহানগরের নেতাকর্মীরা। ওই ধরনের প্রার্থী দেওয়া হলে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করবে। তবে বসন্তের কোকিলদের প্রার্থী করা হলে সেক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারনায় এবং নির্বাচনে ফলাফলে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছি।’