সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গাইবান্ধায় দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

মাজেদুর রহমান ও গোলাম শহীদ রঞ্জুগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান সরকার ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু পদত্যাগ করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্র সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষের কাছে জমা দেন গোলাম শহীদ রঞ্জু। এর আগে, সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মাজেদুর রহমান।
মাজেদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ও গোলাম শহীদ রঞ্জু গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি সাঘাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি। গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’
অধ্যাপক মাজেদুর রহমান সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বেলকা ডিগ্রী কলেজে সহকারী অধ্যাপক এবং গাইবান্ধা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি। চার পুলিশ হত্যাসহ একাধিক নাশকতার মামলার আসামি তিনি।
মাজেদুর রহমান সরকার বলেন, 'গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।'
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।