নিহত আব্দুল হাই স্থানীয় সোমবাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘাতক ছেলে হৃদয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
নিহতের শ্যালক আব্দুল আলিম জানান, রবিবার সকালে হৃদয় ঘুমন্ত বাবাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ও মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মা তাকে বাধা দিলে মাকেও রড় দিয়ে আঘাত করে সে। মায়ের চিৎকারে বড় ভাই নিলয় এগিয়ে আসলে তাকেও রড দিয়ে আঘাত করে। পরে আহত আব্দুল হাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৪-৫ বছর ধরে নকিব হাসান হৃদয় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিল।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া জানান, ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে সে তার বাবাকে খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি।