টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক চোরাকারবারি নিহত, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

বন্দুকযুদ্ধটেকনাফের মৌলভীপাড়ায় শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিরপাড়া এলাকার কলিল আহমদের ছেলে  ইউসুফ জালাল বাহাদুর (৩৫)। তিনি একজন তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১২টি মামলা রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি দেশীয় বন্দুক, ২৪ রাউন্ড গুলি ও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, এসআই শরীফুল ইসলাম, এএসআই ফারুক জামান, কনস্টেবল রুবেল, মহিউদ্দীন ও ইব্রাহিম। ক্ষুদে বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিরপাড়া এলাকায় শীর্ষস্থানীয় এক ইয়াবা চোরাকারবারির বাড়িতে ইয়াবা মজুত রাখার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইউসুফ জালাল বাহাদুরকে (৩৫) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ইউসুফ জালালের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জালাল বাহাদুরকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ক্ষুদে বার্তায় আরও বলা হয়, ‘সহযোগীদের গুলিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি ইউসুফ জালাল বাহাদুর নিহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ ১২টি মামলা রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’