বিজয়ের দিনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল



শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকাল থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামে কপালে লাল-সবুজ রঙে আঁকা জাতীয় পতাকা। হাতেও উড়ছে জাতীয় পতাকা। পোশাকে লাল-সবুজের সরব উপস্থিতি। আবার অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার। কণ্ঠে দেশের গান। দলে দলে স্মৃতিসৌধে ঢুকছে মানুষ। শীতের সকালে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢল নামে লাখো মানুষের। বিজয়ের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে শীতকে উপেক্ষা করেই বিজয় উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালি। 

রবিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রায় একই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রদান করে গার্ড অব অনার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। সারিবদ্ধভাবে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার ভিড়। চারদিক থেকে মানুষের ঢল গিয়ে মিশতে থাকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।

দিবসটি উপলক্ষে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। পোশাকধারী পুলিশ-র‌্যাব ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রাখেন গোটা সৌধ এলাকা। এ ছাড়াও সৌধ প্রাঙ্গণের বাইরে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে সব সময় মনিটরিং করা হয় চারদিক।