চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিবারের সদস্যরা হলেন, মাইনুদ্দিন (৩০), তার স্ত্রী ফাতেমা (২৮), মেয়ে ফারজানা মিথিলা (৫) ও ছেলে সিয়াম (১)। মাইনুদ্দিন চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করতো।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী মাইনুদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী ফাতেমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিলো। রবিবার রাতে মাইনুদ্দিন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার নিজের আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে সে আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দেয়। এরপর প্রথমে সে তার স্ত্রীকে বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে এবং পরে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ওসি মো. নাসিম উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।
রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী জানান, রবিবার রাতের কোনও একসময়ে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, আর স্ত্রীকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হয়তো হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) জাহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, ফাতেমার লাশটি পুকুরে পাওয়া গেছে। মাইনুদ্দিনের মরদেহ ঘরে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর দুই সন্তানের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে।