মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমি এলিজাবেথকে অনেক মিস করবো। এখন দুজন পৃথিবীর দুই প্রান্তে অবস্থান করলেও আমাদের ভালোবাসা অটুট রয়েছে। প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা হচ্ছে। ফেসবুকে চ্যাট হচ্ছে। প্রিয় মানুষ দূরে থাকলে আরও বেশি প্রিয় হয়ে ওঠে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।’
২০১৪ সালে মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক এলিজাবেথ এসলিকের। প্রায় আড়াই বছর উভয়ের মধ্যে ভাব আদায়-প্রদানের পর ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি আমেরিকা থেকে মিঠুনের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন আমেরিকার ওয়াশিংটন সিটির রয় এসলিকের মেয়ে এলিজাবেথ। এরপর বিয়ে। বিয়ের পর কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করে আবার এলিজাবেথ ফিরে যান আমেরিকায়। এরপর আবার ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি এলিজাবেথ মিঠুনের কাছে ছুটে আসেন। সেবারও কিছুদিন থাকার পর চলে যান তিনি। ২০১৭ সালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। অনেক আনন্দ করেছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক স্থানে।
ওই সময় আমেরিকার মেয়ের প্রেমের টানে বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়। এলিজাবেথকে দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় করে প্রেমিক মিঠুন বিশ্বাসের বাড়িতে। এরপর মিঠুনের পরিবারের সম্মতিতে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি তাদের এঙ্গেজমেন্ট হয়। ৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে খ্রিস্টানরীতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ে পড়ান শালক এজি চার্জের পালক প্রধান রেভারেন্ট লিতু মুন্সি।
এলিজাবেথ এসলিক বর্তমানে আমেরিকার হ্যারিসটেটার নামের একটি শপিং মলে ক্যাশিয়ার হিসেবে চাকরি করছেন। মিঠুন বিশ্বাস সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
মিঠুন বিশ্বাস জানান, ফেসবুকে পরিচয়, বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালোবাসা, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত শেষে তাদের মিলন হয়েছে বিয়েতে।