অক্সিজেন ও নাইট্রার্স ব্যবস্থাপক মো. মহসিন উদ্দিন জানান, ‘হাসপাতালের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিং এর কাজ করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত মাটির গভীরের অক্সিজেনের মূল ট্যাংকির পাইপের মধ্যে লেগে যায়। এতে হাসপাতালের অক্সিজেন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ ২৪টি ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’
চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন সংকটে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরী অবস্থায় বাইরে থেকে কিনে আনা মিনি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কিছু অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
রোগীর স্বজন আমেনা আক্তার বলেন, ‘রোগীর শ্বাসকষ্ট হলেও হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। বাধ্য হয়ে স্বজনকে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। সরকারি হাসপাতালের এমন অবস্থা আগে কখনো দেখেননি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, ‘সাময়িকভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। নতুন লাইন বসাতে ৫৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’