‘ভোট দিলেই কী আর না দিলেই কী?’

সিলেটে ভোটকেন্দ্র

‘ভোট দিলেই কী আর না দিলেই কী? বাসার সবাইকে না করেছি ভোটকেন্দ্রে যেতে। কারণ, ভোটকেন্দ্রে হঠাৎ মারামারি শুরু হলে সমস্যায় পড়তে হবে। এছাড়া অতীতের ভোটগুলো তো দেখেছি। তাই এখন আর ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই। সকাল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রেখেছি।’ এভাবেই ভোটের প্রতি আগ্রহ হারানোর কথা বললেন সিলেট সদরের খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ভোটার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ।

সিলেট সদরের বাদাঘাট এলাকার ভোটার চাকরিজীবী সুলতান মাহমুদ জানান, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট দিয়ে এসেছি। এ সময় লাইনে আমিসহ দুজন ছিলাম। কোনও আমেজ নেই ভোটের। ভোট পাঁচ বছর পরে এসেছে, তাই দিয়ে দিলাম।’

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের বাসিন্দা ডা. শাফি জানিয়েছেন, ‘ভোট আজ জানি। তবে ভোট না দিয়েই সকালে হাসপাতালে চলে এসেছি। ভোটের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। এখন ভোটের দিন রাজনৈতিক প্রার্থীদের প্রভাবটাই বেশি প্রাধান্য পায়।’

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সিলেটের ১২টি উপজেলার আজ ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুব কম। দুই-একজন করে কিছুক্ষণ পরপর ভোট দিতে আসছেন। লাইন নেই কোথাও। আবার অনেক কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১০-১২টি ভোট পড়েছে।

তবে বেলা ১টা পর্যন্ত সিলেটের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি না থাকায় এবারের ভোট অনেকটা উৎসবহীন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে।
সিলেটের ১২টি উপজেলার ১৭৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করছে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১০ ভোটারের ওপর। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯০ জন ও নারী ভোটার ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২০ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮১৫টি।

এদিকে, সিলেট সদরের কিছু কেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। দুপুর ১২টার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা যায় ভোটারদের লাইন। এসব কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।