অনিয়ম দেখা গেলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজে কোনও ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম দেখা গেলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠুভাবে কাজ হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।’

বুধবার (২০ মার্চ) বিকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ির গণকবর এলাকায় ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীর সংরক্ষণের চলমান কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তীর সংরক্ষণের এ কাজ শুরু হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি কেমন তা দেখতে এসেছি। আশা করছি, এখানকার কাজে কোনও অনিয়ম হবে না। প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, 'নদীভাঙন প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। আগামীতে যাতে নদীভাঙনে বড় ধরনের কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে।’

এর আগে, বুধবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়ায় তিস্তা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে কছিম বাজার মোশাররফের ঘাট এলাকায় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

পরে মন্ত্রী ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত গণকবর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন– জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।

প্রকল্প পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে যাত্রা বিরতি করেন। পরে সন্ধ্যার পর তিনি সড়কপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে রওনা হন। গত ১৯ মার্চ ঢাকা থেকে দুই দিনের সফরে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় আসেন তিনি।