আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করতে চাই না, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাই না এবং মানুষের সম্পদও লুটপাট করতে চাই না। আমরা নিজের টাকায় রাজনীতি করতে চাই। নিজের টাকায় দেশের উন্নয়ন করতে চাই।’
মশিউর রহমান রাঙ্গা এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘উনার মতো এমপি বাংলাদেশে আর একটিও নাই। অনেকেই আছেন টিআর কাবিখা বরাদ্দের টাকা পর্যন্ত পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। আর সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এই নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে তিনি ৭টি ইউনিয়নে ৭টি স্কুল নির্মাণ করেছেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগেরও কেউ এমন কাজ করেননি। আমি বিশ্বাস করি যতদিন সেলিম ওসমান বেঁচে থাকবেন ততদিন উনাকেই এই এলাকার এমপি নির্বাচিত করবেন জনগণ।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের এ জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনরাগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানা উল্লাহ সানু।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মহসিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, বন্দর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি পলি বেগম, জেলা শ্রমিক পার্টির সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, মহানগর যুব সংহতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল।
অনুষ্ঠানের শেষে ৩শ’ পাউন্ডের একটি কেক কেটে অতিথিরা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন।