হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে শুরু করে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ পর্যন্ত সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন মোট ১০ জন আনসার সদস্য। ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের পর ট্রাকগুলো যেন অন্য কোথাও না যায় বা কেউ যেন সেগুলো কোথাও না নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা। এছাড়াও বন্দর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও তারা পালন করেন।
হিলি স্থলবন্দরে দায়িত্বরত আনসারদের প্লাটুন কমান্ডার রাহেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আমরা ১০ জন আনসার সদস্য কর্মরত রয়েছি। আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছি। গত জুলাই মাস থেকে আমাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। আগে কাস্টমসের সকল কর্মকর্তাদের বেতনের সঙ্গে আমাদের বেতন আসতো। কিন্তু এখন তাদের আর আমাদের খাতটি আলাদা করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপর থেকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের খরচ, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাসহ নিজেদের চলাফেরা করতে টাকার দরকার আছে। মানুষ চাকরি করে যেন মাস শেষে বেতন দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতে পারে। আমাদের যে কি পরিমাণ দুঃখ তা বলার আর ভাষা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদূর জেনেছি তাদের নাকি এবারে বরাদ্দটা অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে এবং সেখানে কোডগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আগে যেভাবে যে কোডে বেতন দেওয়া হতো সেটি পরিবর্তন করে ডিজিটাল নম্বর করা হয়েছে। এর কারণে নাকি তাদের বরাদ্দ আসেনি। এবিষয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে এ মাসের মধ্যেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে। তবে এই মাসের মধ্যে যদি তাদের বেতন ভাতা না দেওয়া হয় তাহলে বন্দর থেকে আমরা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়ে আসার জন্য তাদের কাছে চিঠি পাঠাবো।’
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আনসার সদস্যদের বেতন না হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বেতনটা মূলত দেওয়া হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। হয়তোবা সেখানেই কোনও সমস্যার কারণে এটি হয়েছে। এছাড়াও চলতি অর্থবছরে বেতনের কোড নম্বর পরিবর্তন হওয়ার কারণে এটি বন্ধ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অচিরেই তাদের বেতন চলে আসবে বলে আশা করছি।’